রজনীগন্ধা
tuberose flower |
TUBEROSE FLOWER - TUBEROSE CARE MAINTENANCE - IN BENGALI
রজনীগন্ধা
সকল ফুল প্রেমীদের জন্য সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ফুলগুলির মধ্যে অন্যতম হল রজনীগন্ধা ।
যে কোনো আচার অনুষ্ঠান ও বাড়ির ফুলদানিতে ব্যবহার করার জন্য খুবই পছন্দের একটি ফুল ।
রজনীগন্ধা ফুলটি অধিকাংশ মানুষের ' আবেগ ' কে স্পন্দিত করে । কারণ টা বোধহয় এর মনমোহক সুগন্ধ এবং এই ফুলের সাথে জড়িয়ে থাকা বেশ কিছু ভালো লাগা স্মৃতি ।
এই ফুল নানান ধর্মীয় অনুষ্ঠান , বিয়ে ও উপহার দেবার কাজে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।
আজ এই রজনীগন্ধা সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেব । যেমন এর ইতিহাস , চারা রোপন , তার দেখাশোনা ইত্যাদি তাহলে আসুন শুরু করা যাক ।
----------------------------------------------------------------------------------------
If you read this article in English please CLICK hare
----------------------------------------------------------------------------------------
इस लेख को हिंदी में पड़ने के लिए इसपर CLICK करे
----------------------------------------------------------------------------------------
কিছু তথ্য
- বিজ্ঞানসম্মত নাম -- Polianthes tuberosa
- মূল নিবাসী -- mexico
- প্রজাতি -- agave amica
- পরিবার -- Asparagaceae
- উচ্চতা -- ৩ ফুট প্রায়
- পাতা -- ১ ফুট লম্বা সরু গাঢ় সবুজ
রজনীগন্ধার ফুল সাধারণত ৪ টি জাতের পেয়ে থাকি যেমন সিঙ্গেল , সেমী ডাবল , ডাবল ও ভ্যারিগেটেড ।
এর মধ্যে একক ( সিঙ্গেল ) পাপড়ি যুক্ত ফুলের গন্ধ সব থেকে বেশি হয় । এটাকে দেশি রজনীগন্ধা বলেও ডাকা হয় ।
এবং এই জাতের ফুলটিই সারা বছরে বেশি সময় ধরে ফুল দিয়ে থাকে ।
যে জাতের ফুলগুলিতে দুই সারিতে পাপড়ি হয়ে থাকে সেগুলিকে " সেমী ডাবল " ও যে ফুলে তিন বা চার সারিতে পাপড়ি হয়ে থাকে সেগুলিকে " ডাবল " বলা হয়ে থাকে । এই ফুলগুলিতেও খুব সুন্দর গন্ধ হয়ে থাকে ।
আর " ভ্যারিগেটেড " জাতের ফুলগুলি একটু হলদে রঙের হয়ে থাকে । তবে এর সুগন্ধ কম হয়ে থাকে ।
এই ফুলের নির্যাস থেকে নানান সুগন্ধি দ্রব্য তৈরী করা হয় ।
tuberose flower |
কিছু ইতিহাস
মানুষ কবে থেকে এর ব্যবহার করা শুরু করে তার নির্দিষ্ট কোনো সময়কাল খুঁজে পাওয়া যায় না ।
তবে প্রাচীনতম ফুলচাষের মধ্যে রজনীগন্ধা একটি ।
মনে করা হয় ১৬ শ' থেকে ১৭ শ' শতাব্দীর মাঝামাঝি ইউরোপের মাধ্যমে এটি ভারতবর্ষে নিয়ে আসা হয় ।
এই গাছকে ( Polianthes tuberosa ) নামে প্রথম বিজ্ঞানের জন্য বর্ণনা করেন কার্ল লিনিয়াস ( Carl Linnaeus) নামক বিজ্ঞানী ১৭৫৩ খ্রিস্টাব্দে ।
তবে প্রাচীনতম ফুলচাষের মধ্যে রজনীগন্ধা একটি ।
মনে করা হয় ১৬ শ' থেকে ১৭ শ' শতাব্দীর মাঝামাঝি ইউরোপের মাধ্যমে এটি ভারতবর্ষে নিয়ে আসা হয় ।
এই গাছকে ( Polianthes tuberosa ) নামে প্রথম বিজ্ঞানের জন্য বর্ণনা করেন কার্ল লিনিয়াস ( Carl Linnaeus) নামক বিজ্ঞানী ১৭৫৩ খ্রিস্টাব্দে ।
বিবরণ
রজনীগন্ধা কন্দ ( গেঁড় বা গাঁট ) থেকে উৎপাদিত হওয়া একটি গাছ ।
পুরানো গাছের কন্দ থেকেই নতুন কন্দ তৈরী হয় । পুরোনো গাছের কন্দ টিকে মাটি থেকে তুলে নতুন জন্ম নেওয়া কন্দ গুলি আলাদা করে নতুন জায়গায় বসিয়ে তা থেকে আবারও নতুন ফুল পাওয়া যায়।
পুরানো গাছের কন্দ থেকেই নতুন কন্দ তৈরী হয় । পুরোনো গাছের কন্দ টিকে মাটি থেকে তুলে নতুন জন্ম নেওয়া কন্দ গুলি আলাদা করে নতুন জায়গায় বসিয়ে তা থেকে আবারও নতুন ফুল পাওয়া যায়।
tuberose flower plant |
নতুন গাছ লাগানোর প্রায় ৩/৪ মাস পর তাতে ফুল আসতে শুরু করে ।
এই ফুল সাধারণত গরমকাল থেকে বর্ষাকাল পর্যন্ত হয়ে থাকে । (আনুমানিক চৈত্র বৈশাখ থেকে ভাদ্র আশ্বিন পর্যন্ত )
শীতকালে এর ফুল সেইভাবে হয় না । তবে যেমনটা বললাম যে দেশি রজনীগন্ধা ফুলটি প্রায় সারা বছরই কমবেশি হতে দেখা যায় ( খুব ঠান্ডার সময় বাদ দিয়ে ) ।
রজনীগন্ধা প্রায় সব রকমের মাটিতেই সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে পারে ।
একে সম্পূর্ণ রৌদ্রে রাখা উচিত তাতে এটি খুব ভালো ভাবে বেড়ে ওঠে ও বেশি পরিমানে ফুল ও দেয় ।
এই গাছকে অনেকেই নিজের সখের বাগানে বা টবের মধ্যে লাগিয়ে থাকেন ।
যখন এর ফুল ফোটে তখন দেখতে যেমন ভালো লাগে তেমনই বিকেলে ও সন্ধ্যেবেলার হাওয়ায় ভেসে আসা গন্ধ সারা দিনের ক্লান্তি দূর করে দিয়ে মন উৎফুল্লে ভরিয়ে তোলে ।
আসুন এর চারা লাগানো সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিই ।
চারা রোপন
নতুন কন্দ রোপন করার আগে সেটাকে ভালো করে পরিষ্কার করে নিন তারপর সেটিকে যেকোনো ছত্রাক নাশক পাউডার ( যেমন dithane , bavistin , saaf , ইত্যাদি ) ভালো করে লাগিয়ে রেখে দিন প্রায় ১ ঘন্টা ।
আর যদি নার্সারী থেকে নতুন চারা নিয়ে আসেন তাহলে সেই সমেত বসিয়ে দিতে পারেন । কেননা নার্সারিতে সব ব্যবস্থা করেই চারা লাগানো হয়ে থাকে ।
এবার মাটি তৈরী করার পালা ।
- মাটি ---- ৫০%
- সার ----৫০%
- হাড়গুঁড়ো বা সিংকুঁচো ২০০ গ্রাম প্রতি টব
চাষযোগ্য যেকোনো মাটি নিলেই হবে ।
কেঁচোসার , পাতাসার , অথবা গোবরসার এর মধ্যে যেকোনো সার ব্যবহার করতে পারেন ।
হাড়গুঁড়ো বা সিংকুঁচো যেকোনো সারের দোকানে পেয়ে যাবেন । অন্যথায় ডিমের খোলা গুঁড়ো করে দিতে পারেন ৪/৫ চামচ ।
tuberose soil mix |
এগুলোকে ভালো করে মিশিয়ে নিন , তৈরী আপনার মাটি ।
নতুন গাছ লাগানোর জন্য ৭-৮ ইঞ্চি টব যথেষ্ট ।
প্রথমে টবটিকে নিন । টবের নিচে যে ফুটো আছে তার ওপরে একটি খোলামকুচি রেখে তার ওপর কিছুটা বালি দিয়ে তবেই তৈরী করা মাটি দেবেন । .. এতে কি হয় অত্যাধিক জল সহজেই বেরিয়ে যায় আর আপনার গাছের সুসাস্থ্য বজায় থাকে ।
এবার চারা লাগিয়ে দিযে অল্প জল দিয়ে দিন ।
দেখাশোনা
এই গাছে কীটপতঙ্গ তেমন লাগেনা তাই ওষুধ দেবার প্রয়োজন পড়েনা ।
শুধু ১০-১৫ দিন ছাড়া একটু করে খোল পচানো জল দিয়ে দেবেন আর কিছু লাগবে না ।
কিছুদিন পর পর টবের মাটি একটু খুঁড়ে দেবেন । তাতে কি হয় মাটি ফাঁপা থাকলে গাছ সুস্থ থাকে ।
টবে গাছ পুরোনো হয়ে গেলে তা থেকে সব কন্দ গুলি বের করে নিয়ে নতুন কন্দ আলাদা করে দেবেন ।
তাতে কি হল আপনি নতুন গাছ ও পেয়ে গেলেন । আবার নতুন এবং পুরোনো গাছে নতুন তৈরী করা মাটিতেও বসানো হয়ে গেলো ।
tuberose flower |
কারো কারো ফুলগাছে কিছুদিন পর ফুল হওয়া কম হয়ে যায় বা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় ।
আমার মনে হয় এর কারণ নিয়মিত রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা ।
শুরুতে তো এর ফল ভালোই দেখা যায় কিন্তু কিছু দিন পর থেকেই টবের মাটি খারাপ হতে শুরু করে দেয় ।
আমি নিজে এটা উপলব্ধি করেছি ।
নিয়মিত রাসায়নিক সার প্রয়োগের ফলে মাটি শুকনো ও শক্ত হয়ে যায় যার ফলে গাছের শিকড় ঠিক ভাবে ছড়াতে পারেনা এবং জল টানার ক্ষমতাও কমে যায় ।
সেজন্যই আমি নিজে এর ব্যবহার করিনা ও কাউকে এটার পরামর্শও দিই না ।
আমি সব সময় জৈব সারের ব্যবহারই করি ।
আমার মনে হয় এর কারণ নিয়মিত রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা ।
শুরুতে তো এর ফল ভালোই দেখা যায় কিন্তু কিছু দিন পর থেকেই টবের মাটি খারাপ হতে শুরু করে দেয় ।
আমি নিজে এটা উপলব্ধি করেছি ।
নিয়মিত রাসায়নিক সার প্রয়োগের ফলে মাটি শুকনো ও শক্ত হয়ে যায় যার ফলে গাছের শিকড় ঠিক ভাবে ছড়াতে পারেনা এবং জল টানার ক্ষমতাও কমে যায় ।
সেজন্যই আমি নিজে এর ব্যবহার করিনা ও কাউকে এটার পরামর্শও দিই না ।
আমি সব সময় জৈব সারের ব্যবহারই করি ।
=========================================================
অন্য লেখা পড়ার জন্য এগুলিতে ক্লিক করুন - এডেনিয়াম বাগানবিলাস বদ্রি পাখি জবা
=========================================================
আশা করি এই তথ্য গুলি আপনার একটু হলেও কাজে লাগবে ।
ভালো লাগলে শেয়ার করবেন ।
মনপছন্দ রান্নার পদ সম্পর্কে জানার জন্য এই ব্লগটি পড়ুন Tasty with Healthy
No comments:
Post a Comment